হাওজা নিউজ এজেন্সি: শুক্রবার ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)-এর কুদস ফোর্সের সাবেক সিনিয়র কমান্ডার শহীদ মোহাম্মদ-সাঈদ ইজাদির স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শহীদ ইজাদি ইহুদি দখলদার শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে, আল-কুদস ও ফিলিস্তিনের জন্য জিহাদে তার জীবন উৎসর্গ করেছেন, এবং তার নাম সর্বদা উজ্জ্বল হয়ে থাকবে, বলেন মুসাভি।
তিনি বলেন, “দেশের সশস্ত্র বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং আমাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা অত্যন্ত চমৎকার অবস্থায় রয়েছে।”
একই দিনে ইরানের সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আমির হাতামিও দেশের ভূখণ্ডের প্রতিটি অংশ রক্ষার জন্য সেনাবাহিনীর অবিচল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক এলাকাগুলোতে টানা ১২ দিন ধরে হামলা চালায়। এরপর ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতাঞ্জ, ফরদো এবং ইসফাহানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা চালায়।
এই আগ্রাসনের জবাবে ইরানি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে শক্তিশালী পাল্টা হামলা চালায়। আইআরজিসি-র এয়ারোস্পেস ফোর্স "অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩"-এর অংশ হিসেবে দখলদার ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী কাতারের আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যা পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি।
২৪ জুন কার্যকর হওয়া একটি যুদ্ধবিরতি এই সংঘর্ষ আপাতত থামিয়ে দিয়েছে।
আপনার কমেন্ট